আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো কিভাবে প্রাইভেট ব্যাংকের প্রস্তুতি নিতে হয়। পাশাপাশি প্রাইভেট ব্যাংকের বেতন স্কেল, প্রমোশন গ্রোথ সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
দ্রত ক্যারিয়ার গ্রোথ, হ্যান্ডসাম স্যালারি, জাঁক-জমক কর্পোরেট কালচারের জন্য বর্তমান অনেক তরুণ-তরুণীর প্রথম পছন্দের জব বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরী করা। আবার অনেক স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থী শুধু বেসরকারি ব্যাংকের এমটিও বা প্রবেশনারী অফিসার পোস্টের জন্য তাদের স্বপ্ন বুনতে থাকে।
বেশিরভাগ বেসরকারি ব্যাংকে যে সকল নিয়োগ দেয় হয় তা হল:
১) ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার বা প্রবেশনারী অফিসার
২) জুনিয়র অফিসার ক্যাশ বা জেনারেল
৩) এসিস্ট্যান্ট অফিসার ক্যাশ বা জেনারেল
৪) মেসেঞ্জার বা পিয়ন
বেসরকারি ব্যাংক জব প্রস্তুতি: বেশিরভাগ বেসরকারি ব্যাংকের পরীক্ষা প্রিলি ও লিখিত একসাথে হয়। ১.৫ ঘণ্টার পরীক্ষায় সাধারণত ৪০ নম্বর এমসিকিউ ও ৬০ নম্বর লিখিত হয়। সরকারি ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি থাকলে এটা লাভ করা অনেক সহজলভ্য হয়ে যায়।
তবে পূবালী, উত্তরা ব্যাংকসহ কিছু বেসরকারি ব্যাংকে সাধারণত নিম্নোক্ত মানবন্টনে লিখিত পরীক্ষা হয়।
বেসরকারি ব্যাংক নিয়োগ প্রশ্ন: এদের লিখিত পরীক্ষার মানবণ্টন এনালাইসিস করে আমরা দেখতে পাই-
১) ফোকাস রাইটিং- বাংলা ২০ নম্বর
২ ফোকাস রাইটিং- ইংরেজি ২০ নম্বর
৩) অনুবাদ বাংলা+ইংরেজি- ২০/৩০ নম্বর
৪) গণিত ২/৩টি ২০/৩০ নম্বর
৫) আর্গুমেন্ট ১০/২০ নম্বর
ম্যাথ: ম্যাথে পূর্ণাঙ্গ নম্বর পাওয়া মানে আপনি ভাইবার দৌড়ে অনেক এগিয়ে গেলেন। যে ফ্যাকাল্টি প্রশ্ন করবে সেই ফ্যাকাল্টির বিগত সব ম্যাথের সমাধান করা আপনার প্রধান কাজ। এক্ষেত্রে কোন ম্যাথের সমাধানে না করে পরীক্ষার হলে যাওয়া যাবে না। কেননা রিপিটেট কোন ম্যাথ না পারা মানে দিনশেষে আপনি বেকার রয়ে যাওয়া।
এছাড়াও আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট চ্যাপ্টারের ম্যাথ করতে হবে। পর্যাপ্ত সময় নিয়ে রুটিন মাফিক আগারওয়াল স্যারের বই থেকে নিম্নোক্ত চ্যাপ্টারের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাথ করে যাবেন। নিম্মোক্ত চ্যাপ্টারের ম্যাথ অবশ্যই অনুশীলন করবেন। যেমন-
1) Number System
2) Profit and Loss
3) Percentage
4) Average
5) Time and Work
6) Time and Distance
7) Fraction
8) Partnership
9) Problems of Trains
10) Pipes and Cisterns
ফোকাস রাইটিং: নিজেকে সবসময় আপডেট রাখার কোন বিকল্প নেই। নিজেকে আপডেট রাখা মানে প্রিলি, রিটেন সর্বোপরি ভাইবা পর্যন্ত নিজেকে অন্যদের চেয়ে যোজন যোজন দূরত্বে এগিয়ে রাখা এবং নিজেকে বেশ আত্মবিশ্বাসী রাখা।
তাই আপডেট ফোকাসের কন্টেন্ট, ডাটা, বা সামারি নিজের মত করে পড়া ও নোট করা একান্তই জরুরী। প্রতিদিন একটি বাংলা ও একটি ইংরেজির পত্রিকার সম্পাদকীয় অংশসহ গুরুত্বপূর্ণ ডাটা লিখে লিখে আয়ত্ত করবেন। নতুন যেকোন টপিক নিজের মতো করে গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করবেন। আপনি যতই লিখবেন, ততই আপনার লেখার মানের উন্নয়ন হবে।
অনুবাদ: কোন অবস্থায় লাইন বাই লাইন অনুবাদ করবেন না। সবসময় ভাবানুবাদ করবেন। আর অনুবাদের প্রতিটি লাইনে সহজ শব্দ ব্যবহার করবেন না। আপনি কমন একটা শব্দের রিচ শব্দ ব্যবহার করবেন, যাতে পরীক্ষক আপনার খাতাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করতে পারে এবং আপনাকে অধ্যবসায়ী মনে করে। অনুবাদের ২/৩ লাইনের মধ্যে Conjunction /Clause জুড়ে দিবেন। একাধিক শব্দের পরিবর্তে একটি শব্দ/Phrases and Idioms ব্যবহার করবেন। এতে আপনার সময় অনেক কম লাগবে এবং অনুবাদের গাম্ভীর্য প্রকাশ পাবে।
আর্গুমেন্ট: এই সেকশন আসতেও পারে, বা নাও আসতে পারে। আপাতত বিগত কিছু আর্গেমেন্টের ধারণা নিন।
প্যসেজ বা সামারি: অনেক সময় দেখা যায় প্যাসেজ থেকে প্রশ্নোত্তর লিখতে বলা হয়। সেক্ষেত্রে আপনি আগে প্যাসেজ না পড়েই কেবল প্রশ্ন পড়েই প্যাসেজ থেকে উত্তর খুঁজে নিবেন। অবশ্যই এই কাজ অনেক সাধনা করে অর্জন করে নিতে হয়। সামারি লেখার জন্য পুরো কন্টেন্ট দ্রুত পড়ে ৩/৪ লাইনে মূল আলোচনা নিয়ে আসতে পারলে ভালো নম্বর আশা করা যায়।
প্রাইভেট ব্যাংকে চাকুরীর যোগ্যতা: সাধারণত এমটিও এবং প্রবেশনারী অফিসার পদের জন্য অনার্সসহ মাস্টার্স যোগ্যতা চাওয়া হয়। তবে জুনিয়র অফিসার বা এসিসট্যান্ট অফিসার ক্যাশ ও জেনারেলে শুধু অনার্স যোগ্যতা লাগে।
প্রমোশন গ্রোথ ও স্যালারি: ব্যাংকভেদে প্রমোশন গ্রোথ ও স্যালারি কিছুটা ভিন্ন হয়। তবে সেটা প্রায় কাছাকাছি। যেকোন পোস্টের শিক্ষানবিশ সময়কাল সাধারণত ১ বছর ধরা হয়।
এমটিও বা প্রবেশনারী অফিসার পোস্টের শিক্ষানবিশের সময় স্যালারি ৫০-৬০ হাজার হয়, যেখানে এসিস্ট্যান্ট অফিসার ক্যাশ বা জেনারেলদের ৩০-৩২ হাজার টাকা বেতন দেয় হয়। এমটিও বা প্রবেশনারী অফিসারদেরকে ব্যাংকের লিড দেয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়। ওনারা প্রমোশন পেয়ে ব্যাংকের এমডি পর্যন্ত যেতে পারেন।
Viva pass korte pari na...traumatize lagce
ردحذفStudy hard and keep eye on your desire.
حذفNice
ردحذفZillion thanks
حذف