সরকারি ব্যাংক জব প্রস্তুতি

সরকারি ব্যাংক জব প্রস্তুতি: স্বল্প সময়ের প্রস্তুতির সেরা কৌশল:

বর্তমান সময়ে একজন শিক্ষার্থীর স্নাতক শেষ করার পর চাকুরী করা নিয়ে যদি তার একটা গন্তব্য থাকে তাহলে সরকারি ব্যাংকে চাকুরি করা তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে বিবেচ্য হয়। কেননা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর যে  পরিমাণ নিয়োগ হয়, তার ধারেকাছে অন্যকোন সরকারি নিয়োগ হয়না। তাছাড়া সরকারি ব্যাংকে আবেদন করতে যেকোন বিষয় থেকে স্নাতক করলেই হয়। এছাড়াও সরকারি ব্যাংকে চাকুরীর নিশ্চয়তা, সমাজের মূল্যায়ন কিংবা আর্থিক ফল সহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। ফলে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর অর্জন করা শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে এখানে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য হুমড়ি খেয়ে আবেদন করে।

ফলে সহজে অনুমেয় সমন্বিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী নামক সোনার হরিণ পাওয়া অন্যতম একটা সাধনার বিষয়।

নিয়োগ প্রক্রিয়ার ধাপসমূহ:

বাংলাদেশ ব্যাংক, সমন্বিত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা যেকোন সরকারি ব্যাংকের নিয়োগ ৩ ধাপে সম্পন্ন হয়।

১) প্রিলিমিনারি 

(১০০ নম্বর, সময়-১ ঘণ্টা)

২) লিখিত

(২০০ নম্বর, সময় - ২ ঘণ্টা)

৩) ভাইবা

(২৫ নম্বর, ৫-১০ মিনিট করে প্রশ্ন করা হয়)

বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে ১০০ এমসিকিউ এর ১০০ নম্বরের প্রিলি পরীক্ষায় ৬৫ শতাংশ নম্বর পেলে লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হওয়া যায়। ২০০ নম্বরের লিখিত ও ২৫ নম্বরের ভাইবা থাকে। তবে লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষার যোগফলের ভিত্তিতে মেধা নির্ধারণ করে চূড়ান্ত নিয়োগ দেয়া হয়। 

ব্যাংক জব সিলেবাস: (Bank preparation Syllabus)

Combined bank preliminary syllabus/Govt Bank preliminary Syllabus/ Bangladesh Bank Job Syllbus

ব্যাংক জব সিলেবাস ২০২৩ এর আলোকে সাজানো:

বাংলা- ২৫ নম্বর 

ইংরেজি- ২৫ নম্বর

সাধারণ গণিত ও পরিমাণগত দক্ষতা-২০ নম্বর

সাধারণ জ্ঞান-২০ নম্বর

বেসিক কম্পিউটার জ্ঞান-১০ নম্বর

মোট - ১০০ নম্বর

ব্যাংক জব প্রস্তুতি বই: ব্যাংক পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর কোথায় পাবেন?

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য কেমন হবে প্রস্তুতি:

বাজারে প্রচলিত যেকোন একটি নির্ভুল ও আপডেটেড ব্যাংক জব সলুশন কিনুন, যেখানে বিগত সব ব্যাংক প্রিলিমিনারির প্রশ্ন ব্যাখা আকারে দেয়া আছে। বইটির বিভিন্ন পার্টের এমসিকিউ  ভালো করে  মনোযোগ দিয়ে ২/৩ বার পড়ুন। এতে আপনি ব্যাংক প্রিলি পরীক্ষায় কেমন প্রশ্ন আসে, কোন কোন টপিক থেকে প্রশ্ন আসে তার একটা মোটামুটি ধারণা পেয়ে যাবেন। তবে এখন যেহেতু নির্দিষ্ট ফ্যাকাল্টি প্রশ্ন করে, তাই পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি ওই ফ্যকাল্টির প্রশ্নপত্র প্রণয়নের আলোকে পড়তে হবে। অনেকে বলে এই বই পড়লে বা অমুক কোর্স করলে আপনি ৪০ দিনে ব্যাংক প্রস্তুতি নিতে পারবেন, এসব ফাঁদে পা দিবেন না। মনে রাখবেন আপনাকে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিতে হবে। পৃথিবীতে সফলতার কোন শর্টকার্ট পন্থা নেই।

এছাড়াও আপনাকে বিষয়ভিত্তিক বই পড়তে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার সিনিয়রদের পরামর্শে যেকোন প্রকাশনীর বা লেখকদের বিষয়ভিত্তিক বই পড়তে পারেন। তবে বাংলার জন্য এসএসসি এবং এইচএসসির বাংলা বোর্ড বই অবশ্যই পড়তে হবে। গণিতের জন্য এসএসসির সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিতের কিছু সিলেক্টেড অধ্যায় আয়ত্ত করতে হবে। ইংরেজির জন্য প্রচুর ভোকাবুলারি টাইপস প্রশ্ন আয়ত্ত করতে হবে। এছাড়া নিজেকে সবসময় সাম্প্রতিক সময়ের যেকোন তথ্যের সাথে আপডেট রাখতে হবে। সার্চ ইঞ্জিনে ব্যাংক জব সিলেবাস PDF লিখলে আরো বিস্তারিত ধারণা পাবেন।

ব্যাংক রিটেন প্রস্তুতি:

ব্যাংক রিটেন সিলেবাস/ব্যাংক রিটেন প্রশ্ন প্যাটার্ন / Bank written syllabus/bank written question/bank written preparation

 ১) ইংরেজি ফোকাস - সাম্প্রতিক গ্লোবাল বা বাংলাদেশ ইস্যু - ৩৫ নম্বর

২) বাংলা ফোকাস - সাম্প্রতিক গ্লোবাল বা বাংলাদেশ ইস্যু - ৩০ নম্বর

৩) লিখিত সাধারণ জ্ঞান - ৩০ নম্বর

৪) কম্প্রেহেনশন ( ইংরেজি) - ২০ নম্বর

৫) ম্যাথ এসএসসি লেভেল - ২৫ নম্বর

৬) ট্রান্সলেশন ( বাংলা থেকে ইংরেজি) - ২০ নম্বর

৭) ট্রান্সলেশন ( ইংরেজি থেকে বাংলা) - ২০ নম্বর

৮) সামারি রাইটিং - ২০ নম্বর

কেমন হবে আপনার ব্যাংক চয়েস লিস্টঃ বর্তমানে সরকারি ব্যাংকের পরীক্ষা বিভিন্ন ব্যাংকের শূন্যপদের ভিত্তিকে সমন্বিত পদ্ধতিতে নেয়া হয়।

তাই ব্যাংক চয়েস লিস্ট একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, তার পরিচয় বাংলাদেশে কেমন, তার আর্থিক ভ্যালু কতটা বেশি, staff position, সাংগাঠনিক কাঠামো কতটা মজবুত ইত্যাদি। তাই আপনার ভবিষ্যৎ এই প্রতিষ্ঠানে কেমন হবে সেটাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

আপনি ঐ প্রতিষ্ঠানে জব করে কতটা সাধারণ গ্রাহকদের সার্ভিস দিতে পারবেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের সাথে সেই ব্যাংকের পরিচিত বা সরকারের কাছে সেই ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব কত সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে। 

উপরের সবগুলো বিবেচনা নিয়েই ব্যাংক চয়েস লিস্ট দেওয়া উচিত। 

নোটঃ কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ কম তা বিবেচনা নিয়ে চয়েস লিস্ট না দেওয়ায় ভালো।


إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم